ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি:ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ফেসবুকে ইসলাম-বিদ্বেষী ছবি পোস্ট করার জেরে হিন্দুদের অন্তত ৫টি মন্দির ও বহু বাড়ি-ঘরে ভাংচুরের ঘটনা ঘটেছে।
৩০ অক্টোবর দুপুরে নাসিরনগর উপজেলা সদরে ভাংচুরের ঘটনাটি ঘটে। ঘটনার সূত্রপাত গত শুক্রবার থেকে।
নাসিরনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুল কাদের বলেন, দুর্বৃত্তরা অন্তত ২০টি ঘর ও ৫টি মন্দিরে ভাংচুর চালিয়েছে।
পুলিশ বলছে, এদিন নাসিরনগর সদর থেকে বারো কিলোমিটার দূরবর্তী হরিপুর গ্রামের রসরাজ দাস নামে এক হিন্দু যুবক ফেসবুকে একটি ছবি পোস্ট করেন, যেখানে তিনি ফটো এডিটরের মাধ্যমে মুসলমানদের পবিত্র কাবা ঘরের সংগে হিন্দুদের দেবতা শিবের একটি ছবি জুড়ে দেন। পরদিনই তার বিরুদ্ধে একটি মামলা করে তাকে আদালতে চালান করা হয়। কিন্তু ঘটনা সেখানে থেমে থাকেনি। পরদিন শনিবার পুরো নাসিরনগর এ ঘটনা নিয়ে উত্তপ্ত থাকে।
আহলে সুন্নাত ওয়াল জামায়াত নামে একটি সংগঠন রোববার একটি বিক্ষোভ সমাবেশও আহ্বান করে।জানা গেছে, রোববার যখন হিন্দু পাড়াগুলোতে ভাংচুর চলছিল, তখন আধা কিলোমিটার দূরে ওই সংগঠনটির বিক্ষোভ সমাবেশও চলে। সংগঠনটির নেতাদের বরাতে জানা যায়, ‘তারা এ হামলা ও ভাংচুরের সঙ্গে জড়িত নয়। নেতাদের একজন বলেন, আমরা তো সমাবেশ করছিলাম, সবাই দেখেছে। আমরা ভাংচুর করব কীভাবে?’
এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে ৬ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তারা কোন সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত কি না এ ব্যাপারে এখনো জানা যায়নি।
ঘটনার পর এলাকায় সীমান্ত রক্ষী বাহিনী বা বিজিবির সদস্যদের মোতায়েন করা হয়েছে। এখন পরিস্থিতি শান্ত বলেই জানা যাচ্ছে।
পাঠকের মতামত